Da'waat

104

ইবনু উমর (রা.) নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছেন,
তিনি বলতেন:

“যে ব্যক্তি এমন কুকুর পালন করে যেটি পশু রক্ষার জন্যও নয় কিংবা শিকারের জন্যও নয়, তার আমল থেকে প্রত্যহ দুই কীরাত পরিমাণ হ্রাস পাবে।”

(বুখারী : ৫৪৮০)

103

উম্মু কুলসুম বিনতে ‘উকবাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“সে ব্যক্তি মিথ্যাচারী নয়, যে মানুষের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য ভালো কথা পৌঁছে দেয় কিংবা ভালো কথা বলে।”

(বুখারী : ২৬৯২)

102

আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,

“রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন (ঘুমাবার জন্য) বিছানায় যেতেন, তখন মুয়াওবিযাত (ফালাক ও নাস) পড়ে তাঁর দুহাতে ফুঁক দিয়ে তা শরীরে মাসেহ করতেন।”

(বুখারী : ৬৩১৯)

101

ইয়ালা (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) দেখলেন যে এক ব্যক্তি খোলা জায়গায় (পর্দা ব্যতীত) গোসল করছে। তিনি মিম্বরে আরোহণ করলেন, আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও তাঁর গুণগান করলেন। তারপর বললেন:

“আল্লাহ তা’আলা ধৈর্যশীল, লজ্জাশীল, (মানুষের পাপ) আড়ালকারী। তিনি লজ্জাশীলতাকে এবং পর্দা করাকে পছন্দ করেন। অতএব তোমাদের কেউ যখন গোসল করবে, সে যেন পর্দা করে।”

(আন-নাসায়ী : ৪০৬)

100

আবূ মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“মানুষ তার পরিবারের জন্য সওয়াবের নিয়তে যখন খরচ করে, তখন তা হয় তার সাদাকাহ স্বরূপ।”

(বুখারী : ৫৫)

99

মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,

“এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ(সা.)-এর খিদমাতে উপস্থিত হয়ে বললো: “আমি এক সুন্দরী ও মর্যাদা সম্পন্ন নারীর সন্ধান পেয়েছি। কিন্তু সে বন্ধ্যা। আমি কি তাকে বিয়ে করবো?”

তিনি বললেন: “না।”

অতঃপর লোকটি দ্বিতীয়বার এসেও তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে নিষেধ করলেন।

লোকটি তৃতীয়বার তাঁর নিকট এলে তিনি তাকে বললেন: “এমন নারীকে বিয়ে করো, যে প্রেমময়ী এবং অধিক সন্তান প্রসবকারী। কেননা আমি অন্যান্য উম্মাতের কাছে তোমাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে গর্ব করবো।””

(আবূ দাউদ : ২০৫০)

98

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত,
নবী (সা.) বলেছেন:

“আল্লাহর পথে যদি কোনো বান্দা একদিন সিয়াম পালন করে, তবে সে দিনটি জাহান্নামকে তার থেকে ৭০ বছর দূরে সরিয়ে দেয়।”

(আত-তিরমিজী : ১৬২৯;
ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

97

‘আদী ইবনু হাতিম (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“তোমরা জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা করো এক টুকরা খেজুর সাদাকাহ করে হলেও।”

(বুখারী : ১৪১৭)

96

জুনদাব (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“তোমরা ততক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করতে থাকো, যতক্ষণ এর প্রতি তোমাদের হৃদয়ের আকর্ষণ অব্যাহত থাকে।

আর যখন বিরাগ মনা হয়ে যাও, তখন তা থেকে উঠে দাঁড়াও।”

(বুখারী : ৭৩৬৫)

95

হুযাইফাহ ইবনুু-ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন:

“বর্তমান যুগের মুনাফিকরা নবী (সা.)-এর যুগের মুনাফিকদের চাইতেও জঘন্য। কেননা, সে যুগে তারা (মুনাফিকী) করতো গোপনে আর আজ করে প্রকাশ্যে।”

(বুখারী : ৭১১৩)