আনাস (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে।”
(বুখারী : ১৩)
Abdullah As-Sadeed's Corner
Abdullah As-Sadeed's Corner
আনাস (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে।”
(বুখারী : ১৩)
“আর মুশরিক নারীকে ঈমান না আনা পর্যন্ত তোমরা বিয়ে করো না। মুশরিক নারী তোমাদেরকে মুগ্ধ করলেও, অবশ্যই মু’মিন কৃতদাসী তার চেয়ে উত্তম। ঈমান না আনা পর্যন্ত মুশরিক পুরুষদের সাথে তোমরা বিয়ে দিওনা, মুশরিক পুরুষ তোমাদেরকে মুগ্ধ করলেও অবশ্যই মু’মিন ক্রীতদাস তার চেয়ে উত্তম। তারা আগুনের দিকে আহবান করে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে নিজ ইচ্ছায় জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন। আর তিনি মানুষের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাতে তারা শিক্ষা নিতে পারে।”
(২. সূরাতুল বাকারাহ : ২২১)
আনাস (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কতিপয় সাহাবী রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সহধর্মিণীদের নিকট তাঁর গোপন ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন।
(অতঃপর) তাদের (সাহাবাহ) মধ্যে
কেউ বললেন, “আমি কখনও বিয়ে করবো না”,
কেউ বললেন, “আমি কখনও গোশত খাবো না”,
কেউ বললেন, “আমি কখনও বিছানায় ঘুমাবো না”।
রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং বললেন: “লোকদের কী হলো যে, তারা এরূপ এরূপ বলছে? অথচ আমি তো সালাতও আদায় করি, আবার নিদ্ৰাও যাই; সওম পালন করি এবং ইফতারও করি এবং বিয়েও করেছি। অতএব, যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সে আমার কেউ নয়।”
(মুসলিম : ১৪০১)
আয়িশা (রা.) হতে বর্ণিত:
“রাসূলুল্লাহ (সা.) জুতা পরা, চুল আঁচড়ানো, এবং পবিত্রতা অর্জন করা তথা প্রত্যেক কাজই ডান দিক থেকে শুরু করতে ভালোবাসতেন।”
(বুখারী : ১৬৮)
আবূ উসমান (র.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন: “আমরা আজারবাইজানে ছিলাম, এ সময় উমার (রা.) আমাদের (দলপতির) নিকট পত্র লিখলেন,
“হে উতবা ইবনু ফারকাদ! এ সস্পদ তোমারও কষ্টার্জিত নয়, তোমার পিতামাতারও কষ্টার্জিত নয়। সুতরাং এ থেকে তুমি যেভাবে নিজ গৃহে পেটপুরে আহার করো, তেমনিভাবে মুসলিমদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে তাদেরকেও তৃপ্তিসহ আহার করাও।
আর সাবধান, বিলাসিতা, মুশরিকদের বেশভূষা, এবং রেশমী কাপড় পরা থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, রাসূলুল্লাহ (সা.) রেশমী বস্ত্র পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, “তবে এ পরিমাণ (জায়েয আছে)।” রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর শাহাদাত ও মধ্যমা অঙ্গুলীদ্বয় একত্রিত করে আমাদের সামনে তুলে ধরলেন।”
যুহায়র (রা.) বলেন, আসিম (রা.) বলেছেন, “পত্রে তা আছে”, আর যুহায়র (রা.) তার দুই আঙ্গুল তুলে দেখালেন।”
(মুসলিম : ৫২৩৭)
হাকীম ইবনু হিযাম (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“ক্রেতা-বিক্রেতা বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে। যদি তারা উভয়ে সত্য কথা বলে ও (পণ্যের দোষত্রুটি) যথাযথ বর্ণনা করে, তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে; আর যদি তারা মিথ্যা বলে ও (দোষ) গোপন করে, তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত বিনষ্ট হয়ে যাবে।”
(বুখারী : ২১১০)
আবূ উমামাহ সা’লাবা আল-আনসারী (রা.) হতে বর্ণিত,
একদা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবীগণ তাঁর সামনে দুনিয়াদারী সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন:
“তোমরা কি শুনতে পাও না! তোমরা কি শুনতে পাও না যে,
পোশাক-পরিচ্ছেদে নম্রতা প্রকাশ ঈমানের অঙ্গ, পোশাক-পরিচ্ছেদে নম্রতা প্রকাশ ঈমানের অঙ্গ অর্থাৎ পোশাক পরিচ্ছদে বাবুগিরি প্রদর্শন না করা।”
(আবু দাউদ : ৪১৬১)
আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“তোমরা পরস্পর হিংসা করো না,
পরস্পর ধোকাবাজি করো না,
পরস্পর বিদ্বেষ পোষণ করো না,
একে অপরের ক্ষতি করার উদ্দেশে অগোচরে শত্রুতা করো না,
এবং একে অন্যের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয়ের চেষ্টা করবে না।
তোমরা আল্লাহর বান্দা হিসেবে ভাই ভাই হয়ে থাকো। এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার উপর অত্যাচার করবে না, তাকে অপদস্ত করবে না এবং হেয় প্রতিপন্ন করবে না।”
“তাকওয়া এখানে”, এ কথা বলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তিনবার তাঁর বক্ষের প্রতি ইঙ্গিত করলেন।
“একজন মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে তার ভাইকে হেয় জ্ঞান করে। কোনো মুসলিমের উপর প্রত্যেক মুসলিমের জান-মাল ও ইযযত-আবরু হারাম।”
(মুসলিম : ২৫৬৪)
আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“সাত প্রকারের লোক, যাদেরকে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় দিবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ভিন্ন অন্য কোনো ছায়া হবে না।
১. ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ।
২. আল্লাহর ইবাদতে নিয়োজিত যুবক।
৩. এমন ব্যক্তি যে আল্লাহকে নির্জনে স্মরণ করে আর তার চক্ষুযুগল অশ্রুসিক্ত হয়।
৪. এমন ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদে আটকে থাকে।
৫. এমন দু’ব্যক্তি যারা আল্লাহর উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন করে।
৬. এমন ব্যক্তি যাকে কোনো সুন্দরী রুপসী রমনী নিজের দিকে আহব্বান করলো; আর সে বললো, আমি আল্লাহকে ভয় করি।
৭. এমন ব্যক্তি যে সাদাকাহ করলো আর এমন গোপনে করলো যে, তার বাম হাত জানে না যে তার ডান হাত কী করে।”
(বুখারী : ৬৮০৬)
ইবন উমর (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।”
(নাসাঈ : ৫৫৮৭)