Da'waat

আবূ যার (রা.) হতে বর্ণিত,

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবীদের কয়েকজন রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বললেন: “ইয়া রাসূলুল্লাহ! বিত্তবানরা সাওয়াব নিয়ে যাচ্ছে: তারা আমাদের মতো সালাত আদায় করেন, আমাদের মতো সিয়াম সাধনা করেন এবং তারা নিজেদের ধন-সম্পদ হতে কিছু দান করে থাকেন।”

তিনি বললেন: “তোমাদের জন্য কি আল্লাহ তা’আলা সাদাকাহ করার ব্যবস্থা করেননি? প্রতিটি তাসবীহ সাদাকাহ, প্রতিটি তাকবীর সাদাকাহ, প্রতিটি তাহমীদ সাদাকাহ, প্রতিটি তাহলীল সাদাকাহ, সৎকাজের আদেশ দেয়া, অসৎকাজ হতে বিরত রাখা সাদাকাহ এবং স্ত্রীর সঙ্গে মিলনও সাদাকাহ।”

তারা বললেন: “ইয়া রাসূলুল্লাহ! কেউ যদি স্ত্রী সংগম করে, এতেও কি সে সাওয়াব পাবে?”

তিনি বললেন: “তোমরা কি মনে করো যদি সে কামাচার করে হারাম পথে, তাতে কি তার পাপ হবে না? অনুরূপভাবে যদি সে কামাচার করে হালাল পথে, তবে সে সাওয়াব পাবে।”

(মুসলিম : ২২০১ : ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার উপর জুলুম করবে না এবং তাকে জালিমের হাতে সোপর্দ করবে না। যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে, আল্লাহ তার অভাব পূরণ করবেন। যে ব্যক্তি (পৃথিবীতে) কোনো মুসলিমের বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহ দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন।”

(বুখারী : ২৪৪২)

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) হতে বর্ণিত,
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলো: “ইসলামের কোন কাজটি উত্তম?”

তিনি বললেন: “তুমি খাবার খাওয়াবে ও পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সালাম দিবে।”

(বুখারী : ১২)

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“দুনিয়া উপভোগের উপকরণ এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য হলো পুণ্যবতী নারী (স্ত্রী)।”

(মুসলিম : ১৪৬৭)

আলী (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি তার স্বপ্ন সম্পর্কে মিথ্যা ও মনগড়া কাহিনী বলবে, কিয়ামতের দিন তাকে একটি যবের দানায় গিরা লাগাতে বাধ্য করা হবে।”

(মুসনাদি আহমাদ : ৫৬৮; হাসান)

ইবনু আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“আল্লাহ তা’আলা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেন।”

(তিরমিজি : ২৬৪৫)

“ভালো এবং মন্দ সমান হতে পারেনা। মন্দ প্রতিহত করো উৎকৃষ্ট দ্বারা; ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো”

(৪১. সূরাহ ফুসসিলাত : ৩৪)

আনাস ইবনু মালিক (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি চায় যে, তার রিযক প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বৃদ্ধি হোক; সে যেন তার আত্নীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখে।”

(বুখারী : ৫৯৮৬)

আবু হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“তোমরা যে ব্যক্তির দ্বীনদারী ও নৈতিক চরিত্রে সন্তুষ্ট আছো, তোমাদের নিকট সে ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব করলে, তবে তার সাথে বিয়ে দাও। তা যদি না করো, তাহলে পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।”

(তিরমিজী : ১০৮৪)
(হাসান)

“যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদেরকে মৃত বলোনা; বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রভুর নিকট থেকে জীবিকাপ্রাপ্ত।”

(৩. সূরা আলি ইমরান : ১৬৯)