Da'waat

94

ইবনু ‘আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত,

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: “আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়। (আমি দেখি), তার অধিবাসীদের অধিকাংশই স্ত্রীলোক; (কারণ) তারা কুফরী করে।”

তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো: “তারা কি আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করে?”

তিনি বললেন: “তারা স্বামীর অবাধ্য হয় এবং ইহসান অস্বীকার করে। তুমি যদি দীর্ঘকাল তাদের কারো প্রতি ইহসান করতে থাকো, এরপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখলেই বলে, “আমি কখনো তোমার কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পাইনি।””

(বুখারী : ২৯)

93

হারিসা ইবনু ওয়াহাব (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“আমি কি তোমাদেরকে জান্নাতী লোকদের সম্পর্কে অবহিত করবো না? তারা হবে দুনিয়াতে দুর্বল, মাজলুম। তারা যদি কোনো কথায় আল্লাহর ওপর কসম করে ফেলে, তবে আল্লাহ তা’আলা তা পূর্ণ করে দেন।

আর যারা জাহান্নামে যাবে, তারা হবে অবাধ্য, ঝগড়াটে ও অহংকারী।”

(বুখারী : ৬৬৫৭)

92

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“তোমাদের কেউ যদি সম্পদ ও আকৃতির দিক থেকে তার তুলনায় শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টি করে, তবে সে যেন সঙ্গে সঙ্গে তার তুলনায় নিম্নস্তরের ব্যক্তিদের প্রতি লক্ষ্য করে, যাদের উপর তাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।”

(মুসলিম : ৭১৫৯)

91

আবূ উমামাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে কাউকে ভালোবাসে, আর আল্লাহর ওয়াস্তে কারোও সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে এবং আল্লাহর ওয়াস্তেই দান-খয়রাত করে, আবার আল্লাহর ওয়াস্তেই দান-খয়রাত থেকে বিরত থাকে, সে ঈমান পূর্ণ করেছে।”

(মিশকাতুল মাসাবীহ : ৩০;
আবূ দাঊদ : ৪৬৮১)

90

আবূ হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন,

“যে ওয়ালীমায় শুধুমাত্র ধনীদেরকে দাওয়াত করা হয় এবং গরীবদেরকে দাওয়াত করা হয় না, সেই ওয়ালীমা সবচেয়ে নিকৃষ্ট।

যে ব্যক্তি দাওয়াত কবুল করে না, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সঙ্গে নাফরমানী করে।”

(বুখারী : ৫১৭৭)

89

“তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী সালাতের এবং আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে তোমরা দাঁড়াবে বিনীতভাবে;
অতঃপর তোমরা যদি বিপদাশংকা করো, তবে পথচারী অথবা আরোহী অবস্থায় সালাত আদায় করবে। অতঃপর তোমরা যখন নিরাপদবোধ করো, তখন আল্লাহ্‌কে স্মরণ করবে, যেভাবে তিনি তোমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, যা তোমরা জানতে না।”

(সূরাতুল বাকারাহ : ২৩৮ – ২৩৯)

88

আবূ বকর (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“যদি দু’জন মুসলিম তলোয়ার নিয়ে পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তবে হত্যাকারী ও নিহত উভয় ব্যক্তিই জাহান্নামী হবে।”

(মুসলিম : ৬৯৮৯)

87

মুআয ইবনু জাবাল (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“পৃথিবীতে কোনো স্ত্রীলোক যখনই তার স্বামীকে কষ্ট দেয়, তখনই (জান্নাতের) বিস্তৃত চক্ষুবিশিষ্ট হুরদের মধ্যে তার স্ত্রী বলে:

“হে অভাগিনী! তাকে কষ্ট দিও না। তোমাকে আল্লাহ তা’আলা যেন ধ্বংস করে দেন! তোমার নিকট তো তিনি কিছু সময়ের মেহমান মাত্র। শীঘ্রই তোমার হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি আমাদের নিকট চলে আসবেন।””

(তিরমিজী : ১১৭৪)

86

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“রমযান আসলে আসমানের (জান্নাতের) দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শৃংখলিত করে দেয়া হয় শয়তানকে।”

(বুখারী : ১৮৯৯)

85

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে ইবাদতে রাত্রি জাগরণ করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।”

(বুখারী : ৩৫)