আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“কোনো মৃত ব্যক্তির উপর কাযা সিয়াম থাকলে তার অভিভাবক তার পক্ষ থেকে সিয়াম পূর্ণ করবে।”
(মুসলিম : ১১৪৭)
Abdullah As-Sadeed's Corner
Abdullah As-Sadeed's Corner
আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“কোনো মৃত ব্যক্তির উপর কাযা সিয়াম থাকলে তার অভিভাবক তার পক্ষ থেকে সিয়াম পূর্ণ করবে।”
(মুসলিম : ১১৪৭)
আনাস ইবনু মালিক (রা.) হতে বর্ণিত,
নবী (সা.) বলেছেন:
“তোমরা নম্র ব্যবহার করো এবং কঠোর ব্যবহার করো না। আর মানুষকে শান্তি দাও এবং মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করো না।”
(বুখারী : ৬১২৫)
আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“আল্লাহ কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দিবেন না, যে ব্যক্তি অহংকারবশে ইযার ঝুলিয়ে পরে।”
(বুখারী : ৫৭৮৮)
আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রা.) বলেছেন,
“নবী (সা.) যখন (হিজরত করে মক্কা থেকে) মদীনায় এলেন, তখন লোকেরা তাঁর নিকট যেতে লাগলো এবং বলাবলি করতে লাগলো: “আল্লাহর রাসূল (সা.) এসেছেন,
আল্লাহর রাসূল (সা.) এসেছেন,
আল্লাহর রাসূল (সা.) এসেছেন।”
(তিনবার)
আমিও লোকজনের সাথে (তাঁকে) দেখতে গেলাম। আমি তাঁর মুখমন্ডল উত্তমরূপে দেখার পর বুঝতে পারলাম যে, এই চেহারা মিথ্যাবাদীর না।
সর্বপ্রথম তাঁর মুখে আমার শোনা কথা এই যে,
তিনি বললেন:
“হে লোকসকল! তোমরা:
(১) সালামের ব্যাপক প্রচলন করো,
(২) আহার করাও,
(৩) আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখো, এবং
(৪) লোকজন যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন রাতের বেলা সালাত আদায় করো।
শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করো।””
(ইবনু মাজাহ : ৩২৫১)
সাহল ইবনু সা’দ (রা.) হতে বর্ণিত,
নবী (সা.) বলেছেন:
“জান্নাতের মধ্যে একটা চাবুক পরিমাণ জায়গা, দুনিয়া এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে, তার চাইতে উত্তম।
আর আল্লাহর রাস্তায় সকালের এক মুহূর্ত অথবা বিকালের এক মুহূর্ত, দুনিয়া ও এর সব কিছু থেকে উত্তম।”
(বুখারী : ৬৪১৫)
মুগীরা (রা.) হতে বর্ণিত,
নবী (সা.) বলেছেন:
“আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর হারাম করেছেন:
১. মা-বাবার নাফরমানী করা,
২. প্রাপকের প্রাপ্য আটক রাখা,
৩. যে জিনিস গ্রহণ করা তোমাদের জন্য ঠিক নয়, তা তলব করা, এবং
৪. কন্যা সন্তানকে জীবিত কবর দেওয়া।
আর তিনি তোমাদের জন্য অপছন্দ করেছেন:
১. (অপ্রয়োজনীয়) গল্প-গুজব করা,
২. অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা, ও
৩. সম্পদ নষ্ট করা।”
(বুখারী : ৫৯৭৫)
ইবনু আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত,
আবূ সুফিয়ান (রা.) তাকে জানিয়েছেন যে, (রোম সম্রাট) হিরাক্লিয়াস তাকে ডেকে পাঠায়।
আবূ সুফিয়ান (রা.) (গিয়ে) বললেন:
“তিনি অর্থাৎ নবী (সা.) আমাদের সালাত আদায় করতে, যাকাত দিতে, পবিত্র থাকতে এবং রক্তের সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে আদেশ করেন।”
(বুখারী : ৫৯৮০)
আবূ সাঈদ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“প্রত্যেক অঙ্গীকার ভঙ্গকারীর জন্য কিয়ামতের দিন একটি পতাকা থাকবে আর তা তার বিশ্বাসঘাতকতার পরিমাণ অনুযায়ী উঁচু করা হবে।
সাবধান! জনগণের শাসক হয়েও যে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তার চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক আর নেই।”
(মুসলিম : ৪৩৮৮)
আবূ হুরাইরাহ (রা.)-এর সূত্রে নবী (সা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন:
“আল্লাহ এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার নিরাময়ের উপকরণ তিনি সৃষ্টি করেননি।”
(বুখারী : ৫৬৭৮)
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত,
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করল: “ইয়া রাসূলুল্লাহ! এমন ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কী বলেন, যে ব্যক্তি কোনো দলকে ভালোবাসে, কিন্তু (আমলের দিক দিয়ে) তাদের সমান হতে পারেনি।”
তিনি বললেন: “মানুষ যাকে ভালোবাসে, সে তারই সঙ্গী হবে।”
(বুখারী : ৬১৬৯)