Da'waat

64

ইবনু আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
নবী (সা.) বলেছেন:

“তোমাদের মধ্যে কেউ যখন স্ত্রী-সহবাস করে, তখন যেন সে বলে,

بِاسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنِي الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

(আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আমাকে তুমি শয়তান থেকে দূরে রাখো এবং আমাকে তুমি যা দান করবে, তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখো।)

এরপরে যদি তাদের দু’জনের মাঝে কিছু ফল দেয়া হয় অথবা বাচ্চা পয়দা হয়, তাকে শয়তান কখনো ক্ষতি করতে পারবে না।”

(বুখারী : ৫১৬৫)

63

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَٰجِنَا وَذُرِّيَّـٰتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍۢ وَ جْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

“হে আমাদের রাব্ব! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন, যারা হবে আমাদের জন্য চোখজুড়ানো। আর আপনি আমাদেরকে করুন মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য।”

(২৫. সূরাতুল ফুরকান : ৭৪)

62

আমর ইবনুল হারিস ইবনু মুসতালিক (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন:

“বলা হয়, সবচেয়ে কঠিন আযাব হবে দুই ব্যক্তির:

১. স্বামীর অবাধ্যা স্ত্রীর,
এবং
২. এমন ইমামের, যাকে মুসল্লিরা অপছন্দ করে।”

রাবী মানসূর বলেন: “ইমাম সম্পর্কে আমরা জিজ্ঞাসা করলে আমাদের বলা হলো: “যালিম বা অন্যায়চারী ইমামদের বেলায়ই উক্ত কথা প্রযোজ্য। কিন্তু যে ইমাম সুন্নাতের প্রতিষ্টা করেন, তাঁর ক্ষেত্রে তাঁকে অপছন্দকারী ব্যক্তির উপরই গুনাহ বর্তাবে।””

(তিরমিজী : ৩৫৯)

61

আবূ মূসা (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র উত্তোলন করবে, সে আমাদের দলভূক্ত নয়।”

(মুসলিম : ১০০)

60

“তুমি মানুষকে তোমার রবের পথে আহবান করো হিকমাত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে আলোচনা করো সুন্দরভাবে।”

(সূরাতুন নাহল : ১২৫)

59

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন:
“আমি নবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম: “আল্লাহর নিকট কোন আমল সবচেয়ে বেশী পছন্দনীয়?”

তিনি বললেন: “সময় মতো সালাত আদায় করা।”

আবদুল্লাহ জিজ্ঞাসা করলেন: “তারপর কোনটি?”

তিনি বললেন: “পিতা-মাতার সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করা।”

আবদুল্লাহ জিজ্ঞাসা করলেন: “তারপর কোনটি?”

তিনি বললেন: “আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।””

আবদুল্লাহ বলেন: “নবী (সা.) এগুলো সম্পর্কে আমাকে বলেছেন। আমি যদি তাকে আরও বেশী প্রশ্ন করতাম, তিনি আমাকে অধিক জানাতেন।”

(বুখারী : ৫৯৭০)

58

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
এক লোক রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করলো: “ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার বেশী হকদার?”

তিনি বললেন: “তোমার মা।”

লোকটি বললো: “তারপর কে?”

নবী (সা.) বললেন: “তোমার মা।”

সে বললো: “তারপর কে?”

তিনি বললেন: “তোমার মা।”

সে বললো: “তারপর কে?”

তিনি বললেন: “তারপর তোমার বাবা।”

(বুখারী : ৫৯৭১)

57

জুবাইর ইবনু মুতইম (রা.) হতে বর্ণিত,
নবী (সা.) বলেছেন:

“আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।”

(বুখারী : ৫৯৮৪)

56

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন: “”সাতটি বা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) নয়টি মেয়ে রেখে আমার পিতা ইন্তেকাল করেন। তারপর আমি এক বিধবা মহিলাকে বিয়ে করি।

রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন: “জাবির! তুমি বিয়ে করেছ?”

আমি বললাম: “হ্যাঁ।”

তিনি তারপর জিজ্ঞাসা করলেন: “কুমারী বিয়ে করেছ না বিধবা?”

আমি বললাম: “বিধবা।”

তিনি বললেন: “কুমারী করলে না কেন? তুমি তার সাথে প্রমোদ করতে, সেও তোমার সাথে প্রমোদ করতো। তুমিও তাকে হাসাতে, সেও তোমাকে হাসাতো।”

আমি তাঁকে বললাম: “অনেকগুলো কন্যা সন্তান রেখে আবদুল্লাহ (তার পিতা) মারা গেছেন; তাই আমি ওদের-ই মতো কুমারী মেয়ে বিয়ে করা পছন্দ করিনি। আমি এমন মেয়েকে বিয়ে করলাম যে তাদের দেখাশোনা করতে পারে।”

তিনি বললেন: “আল্লাহ তোমাকে বরকত দিন।”, অথবা বললেন: “কল্যাণ দান করুন।””

(বুখারী : ৫৩৬৭)

55

আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“এক স্ত্রীলোককে একটি বিড়ালের জন্য আযাব দেয়া হয় এজন্য যে, সে বিড়ালটিকে আটকে রেখেছিল, পরিশেষে সেটি মারা গেল। যার জন্য সে জাহান্নামে গেল। যে মেয়েলোকটি বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছে, নিজেও পানাহার করায়নি আর সেটিকে সে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে।”

(বুখারী : ২২৪২)