Da'waat

24

খানসা বিনতে খিযাম আল আনসারিয়া (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেছেন:

“যখন তিনি বয়স্কা ছিলেন, তখন তার পিতা তাকে বিয়ে দেন। এ বিয়ে তার (কন্যার) পছন্দ ছিল না। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গেলে তিনি এ বিয়ে বাতিল করে দেন।”

(বুখারী : ৫১৩৮)

23

আবূ কাতাদা আনসারী (রা.) হতে বর্ণিত:

“রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর মেয়ে যয়নব (রা.)-এর গর্ভজাত ও আবূল আস ইবনু রাবী’য়া ইবনু আবদে শামস (র.)-এর ঔরসজাত কন্যা উমামা (রা.)-কে কাঁধে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি যখন সিজদায় যেতেন, তখন তাকে রেখে দিতেন আর যখন দাঁড়াতেন, তখন তাকে তুলে নিতেন।”

(বুখারী : ৫১৬)

22

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“কথা বা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা আমার উম্মাতের জন্য তাদের মনের কল্পনাগুলোকে মাফ করে দিয়েছেন।”

(মুসলিম : ১২৭)

21

জাবির (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“কেউ যদি কিছু দু’আ করে আর তা যদি কোনো গুনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন কারার দু’আ না হয়, তবে আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই সে যা চায়, তা তাকে দেন কিংবা তার থেকে দূরীভূত হবে সে পরিমান মন্দ।”

(তিরমিযী : ৩৩৮১)

20

সাঈদ ইবনু জুবাইর (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন:

“ইবনু আব্বাস (রা.) আমাকে বললেন: “তুমি বিয়ে করেছো?”

আমি বললাম: “না।”

তিনি বললেন: “বিয়ে করো। কেননা, এই উম্মতের মধ্যে যিনি শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, তাঁর অধিক সংখ্যক স্ত্রী ছিল”।”

(বুখারী : ৫০৬৯)

19

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমার সাক্ষাৎ পছন্দ করলে, আমিও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করি। আর সে আমার সাক্ষাতকে অপছন্দ করলে, আমিও তার সাক্ষাতকে অপছন্দ করি।””

(বুখারী : ৭৫০৪)

18

মুগীরা ইবন শু’বা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সময় আমি এক মহিলাকে বিবাহ করার পয়গাম দিলাম।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন: “তুমি তাকে দেখে নাও। কেননা, এতে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গভীর হবে।”

(নাসাঈ : ৩২৩৫)

17

“পুরুষরা নারীদের অভিভাবক ও ব্যবস্থাপক। কারণ, আল্লাহ তাদের একের উপর অপরকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। তাছাড়া পুরুষরা তাদের (নারীদের) জন্যে নিজেদের মাল-সম্পদ ব্যয় করবে।

সতী সাধ্বী স্ত্রীরা হয়ে থাকে অনুগত এবং তারা স্বামীর অনুপস্থিতিতে হিফাযত করে আল্লাহ তাদের যা হিফাযত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তোমরা যেসব স্ত্রীর ব্যাপারে অবাধ্যতার আশংকা করো, তাদেরকে:
(প্রথমে) বুঝাও, উপদেশ দাও,
(দ্বিতীয় পর্যায়ে) তাদের সাথে শয্যা গ্রহণ করতে অস্বীকার করো,
(তাতেও সুপথে না এলে, অবশেষে) প্রহার করো।

যেকোনো পর্যায়ে যখন তারা তোমাদের অনুগত হয়ে যাবে, তখন আর তাদের উপর নির্যাতন চালাবার বাহানা তালাশ করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান এবং শ্রেষ্ঠ।”

(৪. সূরাতুন নিসা : ৩৪)

16

আবদুল্লাহ‌ ইবনু যাম’আ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
নবী (সা.) বলেছেন:

“তোমরা কেউ নিজ স্ত্রীদেরকে গোলামের মতো প্রহার করো না। কেননা, দিনের শেষে তার সাথে তো মিলিত হবে।”

(বুখারী : ৫২০৪)

15

আব্দুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: “তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তিকে তোমরা বড় বীর মনে করো?”

সাহাবীগণ বললেন: “যাকে কেউ যুদ্ধে হারাতে পারে না।”

রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন: “না, বরং প্রকৃত বীর হলো সেই ব্যক্তি, যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারে।”

(আবূ দাউদ : ৪৭৭৯)