Da'waat

164

“আর তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাতের দিকে, যার পরিধি আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

যারা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ব্যয় করে, এবং ক্রোধ সংবরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।

আর যারা কোনো অশ্লীল কাজ করলে অথবা নিজেদের প্রতি যুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে, অতঃপর তাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা চায়। আর আল্লাহ ছাড়া কে গুনাহ ক্ষমা করবে? আর তারা যা করেছে, জেনে শুনে তা তারা বারবার করে না।”

(৩. সূরাহ আলি ‘ইমরান : ১৩৩ -১৩৫)

163

“তারা কি আল্লাহর সৃষ্টি করা জিনিসের দিকে লক্ষ্য করে না, যার ছায়া আল্লাহর প্রতি সাজদার অবস্থায় ডানে-বামে পতিত হয়, আর তারা বিনয় প্রকাশ করে?

আকাশসমূহ ও পৃথিবীতে যত জীব-জন্তু, ফেরেশতারা, সমস্তই আল্লাহকে সাজদাহ করে; তারা অহঙ্কার করে না।”

(১৬. সূরাতুন নাহল : ৪৮ – ৪৯)

162

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“এক সফরে রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের পেছনে রয়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন, এদিকে আমরা (আসরের) সালাত আদায় করতে দেরী করে ফেলেছিলাম এবং আমরা উযূ করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম।

তিনি উচ্চস্বরে বললেন:
“পায়ের গোড়ালিগুলোর (শুষ্কতার) জন্য জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে।”

তিনি দু’বার বা তিনবার এ কথা বললেন।”

(বুখারী : ৬০)

161

“হে জিন ও মানুষ সম্প্রদায়! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি অতিক্রম করতে পারো, অতিক্রম করো; কিন্তু তোমরা তা পারবেনা আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত।”

(৫৫. সূরাতুর রাহমান : ৩৩)

160

“তিনিই তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন রাত, দিন, সূর্য এবং চাঁদকে। আর নক্ষত্ররাজিও অধীন হয়েছে তাঁরই আদেশে; অবশ্যই এতে বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নিদর্শন।”

(১৬. সূরাতুন নাহল : ১২)

159

আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
“রাসূলুল্লাহ (সা.) (তাহাজ্জুদের) এগার রাকা’আত সালাত আদায় করতেন এবং তা ছিল তাঁর (স্বাভাবিক) সালাত। সে সালাতে তিনি এক একটি সিজদা এত পরিমাণ (দীর্ঘায়িত) করতেন যে, তোমাদের কেউ (সিজ‌দা থেকে) তাঁর মাথা তোলার আগে পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করতে পারতো।

আর ফজরের (ফরয) সালাতের আগে তিনি দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করতেন। তারপর তিনি ডান কাঁতে শুইতেন যতক্ষণ না সালাতের জন্য তাঁর কাছে মুয়ায্‌যিন আসতো।”

(বুখারী : ১১২২)

158

আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
রাসূলল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“দু’বার করে আমাকে স্বপ্নযোগে তোমাকে দেখানো হয়েছে।
এক ব্যক্তি রেশমী কাপড়ে জড়িয়ে তোমাকে নিয়ে যাচ্ছিল, আমাকে দেখে বলল: “এই হচ্ছে তোমার স্ত্রী।”
তখন আমি পর্দা খুলে দেখি, সে তুমিই।”
তখন আমি বললাম: “এ স্বপ্ন যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, তবে তিনি বাস্তবে পরিণত করবেন।”

(বুখারী : ৫০৭৮)

157

আবূ বকর (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“আমরা নবী (সা.)-এর কাছে ছিলাম, এ সময় সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) তখন উঠে দাঁড়ালেন এবং নিজের চাদর টানতে টানতে মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং আমরাও প্রবেশ করলাম। তিনি আমাদেরকে নিয়ে সূর্য প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত দু’রাকাআত সালাত আদায় করলেন।

এরপর তিনি বললেন:
“কারো মৃত্যুর কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ কিংবা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ দেখবে, তখন এ অবস্থা কেটে যাওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করবে এবং দু’আ করতে থাকবে।””

(বুখারী : ১০৪০)

156

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন:
“আমাকে তোমার সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে যে, তুমি সারারাত দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করো এবং দিনের বেলা সিয়াম পালন করো?”

আমি বললাম: “আমি অবশ্য করি।”

তিনি বললেন: “তুমি এরূপ করতে গেলে অনিদ্রার কারণে তোমার চোখ কোটরাগত হবে এবং তুমি দুর্বল হয়ে পড়বে। তোমার চোখের হক রয়েছে, তোমার দেহের হক রয়েছে, এবং তোমার পরিবার-পরিজনের হক রয়েছে। অতএব, তুমি রাতে ইবাদতও করবে এবং নিদ্রাও যাবে। সাওমও পালন করবে, আবার তা বাদও দেবে।”

(মুসলিম : ২৬০৯;
ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

155

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
নবী (সা.) বলেছেন:

“যিনাকারী যিনা করা অবস্থায় মু’মিন থাকে না। চোর চুরি করা অবস্থায় মু’মিন থাকে না। মদ্যপায়ী মদ্যপানকালে মু’মিন থাকে না। তবে তারপরও তওবা অবারিত।”

(বুখারী : ৬৮১০)