Da'waat

114

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত:

“যে নারী তার মাথায় কোনো কিছু সংযোজন করে, নবী (সা.) তাকে ধমক দিয়েছেন ও তা নিষেধ করেছেন।”

(মুসলিম : ৫৩৯২)

113

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“কোনো মুসলিম মহিলার জন্য কোনো মুহরিম পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত এক রাতের পরিমাণ দূরত্বও সফর করা বৈধ নয়।”

(আবূ দাউদ : ১৭২৩)

112

আয়িশাহ (রা.) বলেছেন:

“রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর এক স্ত্রীকে চুমু দিলেন, অতঃপর সালাত আদায়ের জন্য বেরিয়ে গেলেন, কিন্তু উযূ করেননি।”

উরওয়াহ (রা.) বললেন: “আপনিই সেই ব্যক্তি?”

এতে তিনি [আয়িশাহ (রা.)] হাসলেন।

(ইবনু মাজাহ : ৫০২; তিরমিজি : ৮৬)

{বিশেষ দ্রষ্টব্য:
১. চুমুর প্রকারভেদ রয়েছে।
২. উল্লেখিত উযূর ক্ষেত্রে মতভেদ রয়েছে।}

111

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“বিয়ের সময় কোনো নারীর জন্য এরূপ শর্তারোপ করা বৈধ নয় যে, তার বোনের (আগের স্ত্রীর) ত্বালাক্ব দাবি করবে, যাতে সে তার পাত্র পূর্ণ করে নিতে পারে (একচেটিয়া অধিকার ভোগ করতে পারে); কেননা, তার ভাগ্যে যা নির্দিষ্ট আছে, তাই সে পাবে।”

(বুখারী : ৫১৫২)

110

সাহল (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“জান্নাতে রায়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন সাওম পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, “সাওম পালনকারীরা কোথায়?” তখন তারা দাড়াবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। তাদের প্রবেশের পরই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাতে এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ না করে।”

(বুখারী : ১৮৯৬)

109

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“সিয়াম ঢাল স্বরূপ। সুতরাং, অশ্লীলতা করবে না এবং মুর্খের মতো কাজ করবে না। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুইবার বলে, “আমি সাওম পালন করছি”।

ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই সাওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চাইতেও উৎকৃষ্ট; (আল্লাহ বলেন:)

“সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমারই জন্য। তাই এর পুরষ্কার আমি নিজেই দান করবো। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশ গুণ।””

(বুখারী : ১৮৯৪)

108

মু’আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন:
“একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট এসে বললাম: “আমাদের স্ত্রীদের (হক) সম্পর্কে আপনি কী বলেন?”

তিনি বললেন: “তোমরা যা খাবে, তাদেরকেও তা খাওয়াবে এবং তোমরা যা পরবে, তাদেরকেও তা পরিধান করাবে। তাদেরকে প্রহার করবে না এবং গালিগালাজ করবে না।””

(আবূ দাউদ : ২১৪৪)

107

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। কাজেই প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্তদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।
যেমন-

জনগণের শাসক তাদের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।

একজন পুরুষ তার পরিবার-পরিজনদের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।

স্ত্রী স্বামীর ঘরের এবং তার সন্তানের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।

আর গোলাম আপন মনিবের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী। কাজেই সে বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।

শোন! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। কাজেই প্রত্যেকেই আপন অধীনস্তদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।”

(বুখারী : ২৫৫৪)

106

সাহল ইবনু সা’দ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“লোকেরা যতদিন যাবৎ ওয়াক্ত হওয়ামাত্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।”

(বুখারী : ১৯৫৭)

105

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো: “কোন রমণী সর্বোত্তম?”

উত্তরে তিনি বলেন: “স্বামী যে স্ত্রীর প্রতি তাকালে তাকে সন্তুষ্ট করে দেয়, স্বামী কোনো নির্দেশ করলে তা (যথাযথভাবে) পালন করে এবং নিজের প্রয়োজনে ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ করে না।””

(মিশকাতুল মাসাবিহ : ৩২৭২; হাসান)