Da'waat

204

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“ঈমানের শাখা রয়েছে ষাটের কিছু বেশি। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।”

(বুখারী : ৯)

203

যিয়াদ ইবনু ইলাকা (রহ.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
জারীর (রা.) বলেছেন:
“আমি নবী (সা.)-এর কাছে বায়আত গ্রহন করলাম। তিনি আমাকে প্রত্যেক মুসলিমের প্রতি কল্যাণ কামনার শর্ত আরোপ করলেন।”

(বুখারী : ২৭১৪)

202

মাসরূক (রহ.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“আমি আয়িশাহ (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম: “নবী (সা.)-এর কাছে কোন আমলটি সর্বাধিক প্রিয় ছিল?”

তিনি বললেন: “নিয়মিত আমল।”

আমি জিজ্ঞেস করলাম: “তিনি কখন তাহাজ্জুদের জন্য উঠতেন?”

তিনি বললেন: “যখন মোরগের ডাক শুনতে পেতেন।””

(বুখারী : ১১৩২)

201

আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন:
“আমি ও নবী (সা.) একই পাত্রে (কাদাহ) থেকে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম। সেই পাত্রকে ফারাক বলা হতো।”

(বুখারী : ২৫০)

200

রাফি’ ইবনু খাদীজ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“আমরা নবী (সা.)-এর সঙ্গে আসরের সালাত আদায় করে উট যবেহ করতাম। তারপর সে মাংস দশ ভাগে ভাগ করা হতো এবং সূর্যাস্তের পূর্বেই আমরা রান্না করা মাংস খেয়ে নিতাম।”

(বুখারী : ২৪৮৫)

199

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“আমি নবী (সা.)-এর সঙ্গে যুদ্ধে শরীক হই।

তখন তিনি বলেন: “তুমি কি মনে করো, তোমার উটটি আমার নিকট বিক্রি করবে কি?”

আমি বললাম: “হ্যাঁ।”

তারপর আমি সেটি তাঁর নিকট (ধারে) বিক্রি করলাম। পরে তিনি মদিনায় এলেন, আমি সকাল বেলা উটটি নিয়ে তাঁর নিকট গেলাম। তখন তিনি আমাকে এর দাম দিলেন।”

(বুখারী : ২৩৮৫)

198

সালামা ইবনু আকওয়া (রা.) হতে বর্ণিত,
“একদিন নবী (সা.)-এর কাছে সালাতে জানাযা আদায়ের জন্য একটি জানাযা উপস্থিত করা হলো।

তখন নবী (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন: “তার কি কোনো ঋণ আছে?”

সাহাবীগণ বললেন: “না।”

তখন তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করলেন। তারপর আরেকটি জানাযা উপস্থিত করা হলো।

তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: “তার কি কোনো ঋণ আছে?”

সাহাবীগন বললেন: “হ্যাঁ।”

তিনি বললেন: “তোমাদের সাথীর সালাত জানাযা তোমরাই আদায় করে নাও।”

আবূ কাতাদা (রা.) বললেন: “ইয়া রাসূলুল্লাহ! তার ঋণের দায়-দায়িত্ব আমার উপর।”

তখন তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করলেন।””

(বুখারী : ২২৯৫)

197

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
নবী (সা.) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তার এ পানাহার পরিত্যাগ (~ সাওম) করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।”

(বুখারী : ১৯০৩)

196

ইবনু আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“(মক্কা) বিজয়ের পর আর হিজরত নেই। বরং রয়েছে কেবল জিহাদ ও নিয়্যাত। যদি তোমাদের জিহাদের ডাক দেওয়া হয়, তা হলে বেরিয়ে পড়।”

(বুখারী : ২৭৮৩)

195

হিশাম (রহ.) হতে বর্ণিত,
“আমার পিতা আমাকে অবগত করলেন যে,
হাকীম ইবনু হিযাম (রা.) জাহিলী যুগে একশ’ গোলাম আযাদ করেছিলেন এবং আরোহণের জন্য একশ’ উট দিয়েছিলেন। যখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন, তখনও একশ’ উট বাহন হিসাবে দান করেন এবং একশ’ গোলাম আযাদ করলেন। তিনি বলেন,
“আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম: “ইয়া রাসূলুল্লাহ! জাহেলী যুগে কল্যাণের উদ্দেশ্যে যে কাজগুলো আমি করতাম, সেগুলো সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন।”

তিনি বলেন,
তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন: “তোমার পিছনের আমলগুলোর কল্যাণেই তো তুমি ইসলাম গ্রহণ করেছো।”””

(বুখারী : ২৫৩৮)