Da'waat

194

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত,

তিনি বলেন,
“আমি এক ব্যক্তিকে একটি আয়াত পড়তে শুনলাম। অথচ আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে (আয়াতটি) অন্যরূপ পড়তে শুনেছি। আমি তার হাত ধরে তাকে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে নিয়ে এলাম।

তিনি বললেন: “তোমরা উভয়েই ঠিক পড়েছ।””

শু’বা (রহ.) বলেন,
“আমার মনে হয় তিনি বলেছিলেন:
“তোমরা বাদানুবাদ করো না। কেননা, তোমাদের পূর্ববর্তীরা বাদানুবাদ করে ধ্বংস হয়েছে।””

(বুখারী : ২৪১০)

193

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
নবী (সা.) বলেছেন:

“সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমি নিশ্চয়ই (কিয়ামতের দিন) আমার হাউজ (কাওসার) থেকে কিছু লোকদের এমনভাবে তাড়াবো, যেমন অপরিচিত উট হাউজ হতে তাড়ানো হয়।”

(বুখারী : ২৩৬৭)

192

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,

নবী (সা.) বলেছেন: “মহান আল্লাহ তা’আলা এমন কোনো নবী পাঠাননি, যিনি বকরী চরাননি।”

তখন তাঁর সাহাবীগণ বলেন: “আপনিও?”

তিনি বললেন: “হ্যাঁ, আমি কয়েক কীরাতের বিনিময়ে মক্কাবাসীদের বকরী চরাতাম।”

(বুখারী : ২২৬২)

191

আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন:

“আমি হাইয অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মাথা আঁচড়িয়ে দিতাম।”

(বুখারী : ২৯৫)

190

উম্মে আতিয়্যা (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“ঈদের দিন আমাদের বের হওয়ার আদেশ দেওয়া হতো। এমনকি আমরা কুমারী মেয়েদেরকেও অন্দরমহল থেকে বের করতাম এবং ঋতুমতী মেয়েদেরকেও। তারা পুরুষদের পিছনে থাকতো এবং তাদের তাকবীরের সাথে তাকবীর বলতো এবং তাদের দু’আর সাথে দু’আ করতো, তারা আশা করতো সে দিনের বরকত এবং পবিত্রতা।”

(বুখারী : ৯৭১)

189

আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আস (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বলেছেন:

“আল্লাহ পাকের নিকট সর্বাধিক প্রিয় সালাত হলো দাউদ (আ.)-এর সালাত। আর আল্লাহ পাকের নিকট সর্বাধিক প্রিয় সিয়াম হল দাউদ (আ.)-এর সিয়াম। তিনি [দাউদ (আ.)] অর্ধরাত পর্যন্ত ঘুমাতেন, এক তৃতীয়াংশ তাহাজ্জুদ পড়তেন এবং রাতের ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন। তিনি একদিন সিয়াম পালন করতেন, একদিন করতেন না। ”

(বুখারী : ১১৩১)

188

ইবনু আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“আমি রাসূলুল্লাহ (সা.), আবূ বকর (রা.), উমর (রা.), এবং উসমান (রা.) এর সঙ্গে (ঈদের) সালাতে হাযির ছিলাম। তারা সবাই খুতবার আগে সালাত আদায় করতেন।”

(বুখারী : ৯৬২)

187

ইবনু উমর (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন:

“নবী (সা.) উৎপাদিত ফল কিংবা ফসলের অর্ধেক শর্তে খায়বারের জমি বর্গা দিয়েছিলেন।”

(বুখারী : ২৩২৯)

186

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
নবী (সা.) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি মানুষের মাল (ধার) নেয় পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে, আল্লাহ তা’আলা তা আদায়ের ব্যবস্থা করে দেন। আর যে তা নেয় বিনষ্ট করার নিয়তে, আল্লাহ তা’আলা তাকে ধ্বংস করেন।”

(বুখারী : ২৩৮৭)

185

উম্মু সালামা (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“তোমরা আমার কাছে মামলা মোকদ্দমা নিয়ে আসো। আর তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ত প্রতিপক্ষের তুলনায় প্রমাণ (সাক্ষী) পেশ করার ব্যাপারে অধিক বাকপটু। তবে যেনে রেখো, বাকপটুতার কারণে যার অনুকূলে আমি তার ভাইয়ের প্রাপ্য হক ফায়সালা করে দেই, তার জন্য আসলে আমি জাহান্নামের অংশ নির্ধারন করে দেই। কাজেই, সে যেন তা গ্রহন না করে।”

(বুখারী : ২৬৮০)