Da'waat

184

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) হতে বর্ণিত,

তিনি বলেন,
“রাসূলুল্লাহ (সা.) একদা আমার উভয় কাঁধ ধরে বললেন:
“তুমি এ দুনিয়াতে একজন মুসাফির অথবা পথযাত্রীর মতো থাকো।””

আর ইবনু উমর (রা.) বলতেন: “তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে আর ভোরের অপেক্ষা করো না, এবং ভোরে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। তোমার সুস্থতার অবকাশে পিড়ীত অবস্থার জন্য সঞ্চয় করে রেখো। আর জীবিত অবস্থায় তোমার মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিও।”

(বুখারী : ৬৪১৬)

183

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

“ঘাস উৎপাদন থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি রুখে রাখা যাবে না।”

(বুখারী : ২৩৫৩)

182

যাইদ ইবনু খালিদ (রাঃ.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) অবিবাহিত ব্যভিচারী সম্পর্কে একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসনের নির্দেশ দিয়েছেন।

(বুখারী : ২৬৪৯)

181

ইবনু আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“দুটি নিয়ামত এমন আছে, যে দু’টোতে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হলো, সুস্থতা আর অবসর।”

(বুখারী : ৬৪১২)

180

আনাস ইবনু মালিক (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
নবী (সা.) বলেছেন:

“যে মুসলিম কোনো ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোনো ফসল ফলায়, আর তা থেকে পাখি কিংবা মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু খায়, তবে তা তার পক্ষ থেকে সাদাকাহ বলে গণ্য হবে।”

(বুখারী : ২৩২০)

179

ইবনু উমর (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
উমর (রা.) মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে বলেন:

“(হামদ ও সালাতের পর জেনে রাখো) মদ হারাম হওয়ার আয়াত নাযিল হয়েছে। আর তা তৈরি হয় পাঁচ প্রকারের জিনিস থেকে: আঙ্গুর, খেজুর, মধু, গম, ও যব। আর মদ হলো তাই, যা বিবেক-বুদ্ধিকে বিলোপ করে দেয়।”

(বুখারী : ৫৫৮১)

178

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মদ পান করেছে, এরপর সে তা থেকে তওবা করেনি, সে ব্যক্তি আখিরাতে তা থেকে বঞ্চিত থাকবে।”

(বুখারী : ৫৫৭৫)

177

আনাস (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেছেন:

“নবী (সা.)-এর সম্মুখ দিয়ে এক জানাযা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লোকটি সম্পর্কে সবাই প্রশংসা করছিলেন।
তিনি বললেন, “ওয়াজিব হয়ে গেছে।”

পরে আরেকটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লোকেরা তার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করলো (কিংবা বর্ণনাকারী অন্য কোনো শব্দ বলেছেন)।
তিনি বললেন, “ওয়াজিব হয়ে গেছে।”

তখন বলা হলো: “ইয়া রাসূলুল্লাহ! এ ব্যক্তি সম্পর্কে বললেন, ওয়াজিব হয়ে গেছে; আবার ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বললেন, ওয়াজিব হয়ে গেছে।”

তিনি বললেন: “মানুষের সাক্ষ্য (গ্রহণযোগ্য) আর মু’মিনগন হলেন পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষ্যদাতা।””

(বুখারী : ২৬৪২)

176

আসমা বিনতে আবূ বকর (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন: “সূর্য গ্রহণের সময় আমাদেরকে গোলাম আযাদ করার নির্দেশ দেওয়া হতো।”

(বুখারী : ২৫২০)

175

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
নবী (সা.) বলেছেন:

“কেউ কোনো মুসলিম গোলাম আযাদ করলে আল্লাহ সেই গোলামের প্রত্যেক অঙ্গের বিনিময়ে তার একেকটি অঙ্গ (জাহান্নামের) আগুন থেকে মুক্ত করবেন।”

সাঈদ ইবনু মারজানা (রা.) বলেন: “এ হাদীসটি আমি আলী ইবনু হুসায়ন (রা.)-এর খিদমতে পেশ করলাম। তখন আলী ইবনু হুসায়ন (রা.) তাঁর এক গোলামের কাছে উঠে গেলেন, যার বিনিময়ে আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার (রা.) তাকে দশ হাজার দিরহাম কিংবা এক হাজার দ্বীনার দিতে চেয়েছিলেন এবং তিনি তাকে আযাদ করে দিলেন।”

(বুখারী : ২৫১৭)