Da'waat

124

رَبِّ شْرَحْ لِى صَدْرِى ۔ وَيَسِّرْ لِىٓ أَمْرِى ۔ وَ حْلُلْ عُقْدَةًۭ مِّن لِّسَانِى ۔ يَفْقَهُوا۟ قَوْلِى

“হে আমার রাব্ব! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন, আমার কাজকে সহজ করে দিন, আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।”

(সূরাহ ত্বহা : ২৫ – ২৮)

123

সালমান ফারসী (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“দু’আ ছাড়া আর কিছুই তাকদীর রদ করতে পারে না; আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না।”

(তিরমিজী : ২১৪২)

122

হাসসান ইবনু ‘আতিয়্যাহ (রহ.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,

“কোনো জাতি যখন দ্বীনের মধ্যে কোনো বিদ’আত সৃষ্টি করে, তখনই আল্লাহ তা’আলা তাদের থেকে সে পরিমাণ সুন্নাত উঠিয়ে নেন। ক্বিয়ামাত পর্যন্ত এ সুন্নাত আর তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয় না।”

(মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৮৮;
দারিমী : ৯৮)

121

“জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহর অলিদের কোনো ভয় নেই এবং দুঃখ-দুশ্চিন্তাও নেই।”

(১০. সূরাহ ইউনুস : ৬২)

120

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেছেন:

“রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনো কোনো খাবারকে খারাপ বলেনি। কোনো খাবার পছন্দ হলে খেয়েছেন আর অপছন্দ হলে পরিত্যাগ করেছেন।”

(মুসলিম : ৫২০৭)

119

আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“এক মহিলা তার দু’টি মেয়েকে সাথে নিয়ে আমার কাছে এসে কিছু চাইলো। আমার কাছে একটি খুরমা ছাড়া আর কিছুই সে পেলো না। আমি তাকে সেটি দিয়ে দিলাম। মহিলা তার দু’মেয়েকে খুরমাটি ভাগ করে দিল। তারপর সে উঠে বের হয়ে গেল। ইতিমধ্যে নবী (সা.) এলেন। আমি তাকে ঘটনাটি জানালাম।

তখন তিনি বললেন: “যাকে এ সকল কন্যা সন্তান দিয়ে কোনো পরীক্ষায় ফেলা হয়, এরপর সে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করে, এ কন্যারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে আড়-স্বরূপ হবে।””

(বুখারী : ৫৯৯৫)

118

আনাস (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“আল্লাহ তা’আলা বান্দার তাওবার কারণে সেই লোকটির চাইতেও বেশী খুশী হন, যে লোকটি মরুভূমিতে তার উট হারিয়ে পরে তা পেয়ে যায়।”

(বুখারী : ৬৩০৯)

117

رَبَّنَا ظَلَمْنَآ أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ لْخَـٰسِرِينَ

“হে আমাদের রাব্ব! আমারা নিজেদের প্রতি যুলুম করছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং দয়া না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবো।”

(৭. সূরাতুল আ’রাফ : ২৩)

116

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
নবী (সা.) বলেছেন:

“স্বপ্ন তিনি প্রকার।:
১. আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ,
২. বান্দার মনের খেয়াল,এবং
৩. শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনমূলক কিছু।

অতএব তোমাদের কেউ পছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে, তা ইচ্ছা করলে অপরের কাছে ব্যক্ত করতে পারে। আর সে অপছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে যেন তা ব্যক্ত না করে এবং উঠে সালাত আদায় করে।”

(ইবনু মাজাহ : ৩৯০৬)

115

আমির (রহ.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“একদা আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা.)-এর নিকটে লোকজন উপস্থিত ছিল, এমন সময় এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বসলো এবং তাঁকে বললো: “আপনি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে যে সকল হাদীস শুনেছেন, তার কিছু আমাকে শোনান।”

তিনি বলেন,
আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি:

“প্রকৃত মুসলিম ঐ ব্যক্তি, যার মুখ ও হাত হতে অপর মুসলিম নিরাপদ থাকে এবং প্রকৃত মুজাহির ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহ নিষিদ্ধ বস্তু হতে দূরে থাকে।”””

(আবূ দাউদ : ২৪৭৩;
ইসলামিক ফাউন্ডেশন)