Da'waat

ইবনু ‘আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
নবী (সা.) বলেছেন:

“তোমাদের কেউ তাঁর স্ত্রীর সাথে মিলনের পূর্বে যদি বলে,

بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

“আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখো এবং যা আমাদেরকে দান করবে, তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখো।”

তারপর (এ মিলনের দ্বারা) তাদের কিসমতে কোনো সন্তান থাকলে, শয়তান তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।”

(বুখারী : ১৪১)

নবী (সা.)-এর সহধর্মিণী আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,

তিনি বলেন: “একদিন রাসূল (সা.) বললেন: “হে আয়িশাহ! এই যে জিবরীল (আ.) তোমাকে সালাম বলেছেন।”

তিনি বললেন: “তাঁর উপরও আল্লাহর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক।””

এরপর তিনি (আয়িশাহ) বললেন: “নবী (সা.) তো দেখতে পান, যা আমি দেখি না।”

(বুখারী : ৬২০১)

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“কারো কাছে কোনো ফুল পেশ করা হলে, সে যেন তা প্রত্যাখ্যান না করে। কেননা তা বোঝায় হালকা এবং ঘ্রাণে উত্তম।”

(মুসলিম : ৫৬৮৭)

“ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে কার কথা উত্তম হতে পারে, যে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে, এবং বলে যে, নিশ্চয়ই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।”

(৪১. সূরাহ ফুসসিলাত : ৩৩)

আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“তোমাদের মাঝে সে-ই ভালো, যে তার পরিবারের নিকট ভালো। আর আমি আমার পরিবারের নিকট তোমাদের চাইতে উত্তম।

আর তোমাদের কোনো সঙ্গী মৃত্যুবরণ করলে তার সমালোচনা পরিত্যাগ করো।”

(তিরমিযী : ৩৮৯৫)

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন:
“একবার লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে হিজর তথা সামূদ সম্প্রদায়ের জনপদে পৌঁছালেন। অতঃপর লোকেরা সেখানকার কুয়া হতে পানি উঠালেন এবং এর দ্বারা আটার খামীর তৈরি করলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদেরকে এ সংগৃহীত পানি ফেলে দেয়া এবং খামীর উষ্ট্রিকে খাওয়াবার আদেশ দিলেন। আর তাদেরকে ঐ কুপ হতে পানি সংগ্রহ করার নির্দেশ দিলেন, যে কূপ হতে সালিহ (আ.)-এর উষ্ট্রী পানি পান করতো।”

(মুসলিম : ৭১৯৬)

“তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত করো, কিছুকেই তাঁর শরীক করো না এবং মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকিন, নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী, সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের আয়ত্তাধীন দাস-দাসীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে ভালোবাসেন না, যে অহংকারী, দাম্ভিক।”

(৪. সূরা নিসা : ৩৬)

আনাস ইবনু মালিক (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির সাথীরূপে তার সঙ্গে যায়। অতঃপর দু’টি ফিরে আসে এবং একটি তার সঙ্গে থেকে যায়। সঙ্গে গমন করে পরিবার-পরিজন, ধন সম্পদ এবং তার ‘আমল। তার জাতি-গোষ্ঠী ও ধন-সম্পদ ফিরে আসে আর কেবল তার ‘আমল থেকে যায়।”

(মুসলিম : ২৯৬০)

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক নির্ধারিত সাদাকাহ সম্পর্কে আবূ বকর (রা.) তাঁর কাছে একটি ফরমান পাঠান। এতে লিখেন যে:

“সাদাকাহ প্রদানের আশংকায় যেন বিচ্ছিন্ন মালকে একত্রিত করা না হয় এবং একাত্রিত মালকে যেন বিচ্ছিন্ন করা না হয়।”

(বুখারী : ৬৯৫৫)

আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন:

“আমি নবী (সা.)-কে এমনভাবে মুখভরে হাসতে দেখিনি যে, তার আলা জিহ্বা দেখা যেত। তিনি তো শুধু মুচকি হাসতেন।”

(বুখারী : ৬০৯২)