Da'waat

154

“তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র। সুতরাং, তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যে প্রকারে ইচ্ছে গমন করো এবং নিজেদের জন্য ভবিষ্যতের বন্দোবস্ত করো, এবং আল্লাহকে ভয় করো এবং জেনে রেখো যে, তোমাদেরকে তাঁর কাছে হাজির হতে হবে। আর বিশ্বাসীদেরকে সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।”

(২. সূরাতুল বাকারাহ : ২২৩)

153

“আল্লাহ যথাযথভাবে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন; নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে মুমিনদের জন্য।”

(২৯. সূরাতুল ‘আনকাবুত : ৪৪)

152

আবূ সাঈদ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে আযল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি বললেন:

“সব তরলেই সন্তান জন্ম হয় না। মূলত আল্লাহ যখন কোনো বস্তু সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করেন, তখন কোনো কিছুই তাকে বাধা দিতে পারে না।”

(মুসলিম : ৩৪২৩)

[আযল = দাম্পত্য মিলনের সময় স্ত্রী প্রজননাঙ্গের বাইরে বীর্যপাত করার চেষ্টা করা।]

151

বুসর ইবনু সাঈদ (র.) হতে বর্ণিত,
যায়িদ ইবনু খালিদ আল জুহানী (রা.) তাঁকে আবূ জুহাইম (রা.)-এর নিকট এ কথা জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠিয়েছিলেন যে, সালাতরত ব্যক্তির সম্মুখ দিয়ে গমনকারী সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট থেকে তিনি কী শুনেছেন।

আবূ জুহাইম (রা.) বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“যদি সালাতরত ব্যক্তির সম্মুখ দিয়ে গমনকারী ব্যক্তি জানতো যে, তার উপর কী পাপের বোঝা চেপেছে, তবে চল্লিশ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকাও তার পক্ষে তা অপেক্ষা উত্তম হতো।”

আবূন-নাযর বলেন: “আমি জানিনা, তিনি চল্লিশ দিন বলেছেন কিংবা মাস অথবা বছর।”

(মুসলিম : ৫০৭)

150

আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“নবী (সা.) আমার কাছে এলেন, তখন আমার নিকট দু’টি মেয়ে বু’আস যুদ্ধ সংক্রান্ত কবিতা আবৃত্তি করছিলো। তিনি বিছানায় শুয়ে পড়লেন এবং চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে রাখলেন।

এ সময় আবূ বকর (রা.) এলেন, তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বললেন: “শয়তানী বাদ্যযন্ত্র (দফ) বাজানো হচ্ছে নবী (সা.)-এর কাছে।”

তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তার দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন: “তাদের ছেড়ে দাও।”

তারপর তিনি যখন অন্য দিকে ফিরলেন, তখন আমি তাদের ইঙ্গিত করলাম এবং তারা বের হয়ে গেল।

আর ঈদের দিন সুদানীরা বর্শা ও ঢালের দ্বারা খেলা করতো। আমি নিজে (একবার) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কছে আরয করেছিলাম, অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেন: “তুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাও?”

আমি বললাম: “হ্যাঁ”,
তারপর তিনি আমাকে তাঁর পিছনে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, আমার গাল ছিল তার গালের সাথে লাগানো।

তিনি তাদের বললেন: “তোমরা যা করতে ছিলে, তা করতে থাকো, হে বনু আরফিদা।”

পরিশেষে আমি যখন ক্লান্ত হয়ে পড়লাম, তথন তিনি আমাকে বললেন: “তোমার কি দেখা শেষ হয়েছে?”
আমি বললাম: “হ্যাঁ”,
তিনি বললেন: “তা হলে চলে যাও।””

(বুখারী : ৯৪৯ – ৯৫০)

149

আবদুল্লাহ‌ ইবনু উমর (রা.) হতে বর্ণিত,

“নবী (সা.)-এর কাছে (খাইবারের) ইয়াহুদীরা তাদের এক পুরুষ ও এক স্ত্রীলোককে হাযির করলো, যারা যিনা করেছিল। তখন তিনি তাদের উভয়কে (রজম করার) নির্দেশ দেন। মসজিদের পাশে জানাযার স্থানের কাছে তাদের দুইজনকে রজম (পাথর নিক্ষেপ) করা হলো।”

(বুখারী : ১৩২৯)

148

মুগীরা (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“নবী (সা.) রাত্রি জাগরণ করতেন” অথবা রাবী বলেছেন,
“সালাত আদায় করতেন; এমনকি তাঁর পদযুগল অথবা তাঁর দু’ পায়ের গোছা ফুলে যেত। তখন এ ব্যাপারে তাঁকে বলা হলো: “এত কষ্ট কেনো করছেন?”

তিনি বলতেন: “তাই বলে আমি কি একজন শুকরগুযার বান্দা হবো না?””

(বুখারী : ১১৩০)

147

“সুন্দর যত নাম সবই আল্লাহর জন্য। কাজেই তাঁকে ডাক ঐ সব নামের মাধ্যমে। যারা তার নামের মধ্যে বিকৃতি ঘটায়, তাদেরকে পরিত্যাগ করো। তারা যা করছে, তার ফল তারা শীঘ্র পাবে।”

(৭. সূরাতুল আ’রাফ : ১৮০)

146

আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
নবী (সা.) কোনো মানুষের জন্য তার বিবাহের সময় এরূপ দু’আ করতেন। তিনি বলতেন:

بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ

“আল্লাহ তোমার মঙ্গল সাধন করুন, তোমাকে উন্নতি দিন এবং তোমাদের উভয়ের মধ্যে সৎকাজে সহযোগিতা রাখুন।””

(আবূ দাউদ : অধ্যায় ৬;
ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

145

আবূ মূসা (রা.) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
“(একদা) আমি এবং আমার দুই চাচাত ভাই নবী (সা.)-এর নিকট উপস্থিত হলাম।

ঐ দুই ব্যক্তির একজন বললো: “ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! মহান আল্লাহ আপনাকে যে সমস্ত রাজ্যের কর্তৃত্ব প্রদান করেছেন, তার কিছু অংশে আমাদেরকে আমীর নিযুক্ত করুন।”

অপরজনও অনুরূপ বললো।

তখন তিনি বললেন: “আল্লাহর কসম! আমরা এমন কাউকে নের্তৃত্বে আসীন করিনা, যে তার জন্য প্রার্থী হয় এবং যে তার জন্য লালায়িত হয়।””

(মুসলিম : ৪৫৬৬;
ইসলামিক ফাউন্ডেশন)